বাবার জানাজায় ছাত্রদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনার বিষয়ে হাইকোর্ট উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন, তিনি কত মামলার আসামি? তাকে কেন ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। এছাড়া, রাষ্ট্রের নাগরিকদের জেলের ভেতরে রাখার মধ্যেও কোনো ক্রেডিট নেই।

ডান্ডাবেড়ি পরানোর সংবাদ নজরে আনলে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে এ মন্তব্য করেন।

আদালতে ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়টি নজরে আনেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

‘বাবার জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পায়ে ছাত্রদলের নেতা’ শিরোনামে রোববার (১৩ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদন নজরে এনে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আর্জি জানান আইনজীবী কায়সার কামাল। তখন হাইকোর্ট বলেন, এ খবর আমরা পড়েছি।

আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। রাষ্ট্র দিন দিন নাগরিকদের প্রতি ঢ়ুর আচরণ করছে।

আদালত বলেন, চাইলে আগের রিটে (যশোরে চিকিৎসাধীন এক যুবদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে) সম্পূরক আবেদন দিতে পারেন। চাইলে নতুন করে আবেদন নিয়েও আসতে পারেন।

পরে আইনজীবী কায়সার কামাল জানান, এই ঘটনা নিয়ে চলতি সপ্তাহে নতুন করে রিট আবেদন করা হবে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা। সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে নির্ধারিত জানাজার আগেই আয়োজন করা হয় বিশেষ জানাজার। গত শনিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে ওই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার সময় নাজমুলের হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও খোলা হয়নি পায়ের ডান্ডাবেড়ি। 

মো. নাজমুল মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জানাজা শেষে তাকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এমএইচডি/কেএ