সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চর ভাতা বাতিলের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চর ভাতা বাতিল করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক গত বছরের ২২ আগস্ট জারি করা আদেশ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেছেন। ফলে চর উপজেলায় কর্মরত শিক্ষকদের চর ভাতা নামে মাসিক ঝুঁকি ভাতা প্রদানে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চর ভাতা বাতিল করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক গত বছরের ২২ আগস্ট   জারিকৃত আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার ১০ শিক্ষক। রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মোট ১১ জনকে বিবাদী করা হয়।

আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলাটি সরকার ঘোষিত চর উপজেলা এবং রিট পিটিশনাররা উক্ত রাঙ্গাবালী উপজেলায় অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক। ২০১৯ সালে ৫ মার্চ  সরকার উক্ত চর উপজেলায় কর্মরত শিক্ষকদের চর ভাতা নামে মাসিক একটি ঝুঁকি ভাতা প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং উক্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক রিট পিটিশনাররা চর ভাতা পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু গত বছরের ২২ আগস্ট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর উক্ত শিক্ষকদের চর ভাতা বাতিল করে একটি আদেশ জারি করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হয়ে রিট পিটিশন দয়ের করেন ১০ শিক্ষক।

রিটকারীরা হলেন, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গাজী মোহাম্মদ শফি উদ্দিন, মো. শামীম হোসেন, মো. সোহরাব হোসেন, মো. সোলায়মান হোসেন, মো. ইলিয়াস, মো. ইসমাইল, মো. সায়েদুর রহমান, এইচ.এম. হাসান, মো. লিমন আনসারী এবং ফাতেমা সুবর্ণা।

এমএইচডি/এসকেডি