সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর দক্ষিণখান থানার মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজী হককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন। 

আসামিকে আদালতে হাজির করার আবেদনে বলা হয়, গতকাল ৩ জানুয়ারি তমিজীকে বিকন পয়েন্ট লি. হাসপাতাল থেকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বিকন হাসপাতালের কাগজপত্র ও তমিজীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুনরায় সেই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। হাসপাতালের ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী— আদম তমিজী গুরুতর মানসিক রোগে ভুগছেন এবং এখনো তার মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ বিদ্যমান রয়েছে। এ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা অব্যাহত রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। 

শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১০ জানুয়ারি জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

গত ২৮ ডিসেম্বর আদালতের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী তমিজিকে আজ আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম।

জানা যায়, আদম তমিজী হক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত কথা লিখেছিলেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা হয়। গত ১০ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তার আচরণ ও কথা অসংলগ্ন মনে হওয়ায় মাদক নিরাময়কেন্দ্রে পাঠানো হয়। আদালতে জানানো হয়— আদম তমিজি হকের এলোমেলো কথাবার্তায় ডিবির মনে হয়েছে, তার চিকিৎসা প্রয়োজন। 

পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে জাতীয় মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় তমিজি হককে। মানসিক হাসপাতালে নয়জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে একটি বোর্ডও গঠন করা হয়।

এনআর/এমজে