ইতিহাসে এত তাড়াতাড়ি শুনানি দেখিনি, বললেন ইউনূসের আইনজীবী
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, লেবার কোর্টের ইতিহাসে এত তাড়াতাড়ি শুনানি দেখিনি। এক মাসে ৯/১০টা ডেট দিয়েছেন। কোনো কোর্টের এজলাস তৈরি করা হয়নি। ১৫ দিনের জন্য আইনজীবীদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। নিজেরা এজলাস তৈরি করে এখানে তড়িঘড়ি করে শুনানি করে সাজা দেওয়া হয়েছে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় আসার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ আসামিদের ১ মাসের জামিন দেওয়া হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। তাদেরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই রায়ে আমরা বিক্ষুব্ধ। এই রায় অন্যায়, এই রায় জনগণের বিরুদ্ধে এবং আইনবিরোধী। আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। তাই আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ কোনো কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি। আমরা ১০৯টা কন্ট্রাডিকশন (অসঙ্গতি) দিয়েছি। একটা দিলেই তো খুনের আসামি পর্যন্ত জামিন পেয়ে যায়। সেখানে ১০৯টা অসঙ্গতি দেওয়া হলেও আদালত আমলে নেয়নি। আইন অনুযায়ী এক বছরের নিচে সাজা হলে আপিলের শর্তে জামিন দিতে হয়। আজ আমরা আপিলের শর্তে জামিন নিয়েছি। আমরা নির্দিষ্ট সময়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আপিল করব।
আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিয়ম হচ্ছে ওপেন কোর্টে পূর্ণাঙ্গ জাজমেন্ট করা। যখনই দেখা গেল তার জাজমেন্টে প্রতি লাইনে ভুল! তখন তিনি লাইনে ভুল বাদ দিয়ে সরাসরি জাজমেন্ট না পড়ে আদেশ দিয়েছেন। নিয়ম হচ্ছে আসামিপক্ষকে পূর্ণাঙ্গ জাজমেন্ট পড়ে শোনানো।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, উনি নাকি শ্রমিকদের স্থায়ী করেননি। অথচ আইনে আছে একজন শ্রমিকের নিয়োগের ৬ মাস হয়ে গেলে অটোমেটিক্যালি তিনি স্থায়ী হয়ে যাবেন। এটা শ্রম আইনে উল্লেখ আছে। আর এই অভিযোগেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
জেইউ/এনএফ