ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন দিপুর মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার মনোনয়ন গ্রহণ করে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ (মঙ্গলবার) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ তার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট  শাহ মুঞ্জুরুল হক ও অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী।

স্বতন্ত্র প্রার্থী  ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন দিপু ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, বাংলাদেশ আওয়ামী নবীন লীগের কেন্দ্রীয় কাযনির্বাহী কমিটির সভাপতি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য তিনি।

তিনি যে আসনে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন সেটি হলো (ময়মনসিংহ-১০) গফরগাঁও উপজেলা ও পাগলা থানা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন। সেখানে সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আলতাফ হোসেন গোলন্দাজের ছেলে বর্তমান সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। তিনি এর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং পরে দুই বার সংসদ সদস্য (২০১৪ এবং ২০১৮) হন। এবারও তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে  মনোনয়নপত্র জমা দেন ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন দিপু। কিন্তু তার মনোনয়ন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি স্থানীয় নির্বাচনী কার্যালয়ে।

আইনজীবীসহ নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়েও গ্রহণযোগ্যতা পাননি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।

নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানির দিনে নামঞ্জুর হয় তার প্রার্থিতা। ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর নিয়ে জটিলতায় তার আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার আগে আওয়ামী লীগ থেকে নমিনেশন চেয়েছিলেন তিনি। এর পরে তিনি নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে বিফল হয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ময়মনসিংহের ১১টি সংসদীয় আসনের ১০৬ প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়। এতে ২৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল। 

এমএইচডি/এনএফ