এজাহারনামীয় আসামি হলেও গ্রেপ্তার না দেখানোয় একাধিক মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির তিন নেতার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনগুলো শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হলে আদালত বলেন— এসব মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার না দেখানো পর্যন্ত জামিন আবেদন শুনানির এখতিয়ার আদালতের নেই। এ বিষয়ে তাদেরকে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন আদালত। 

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী ও মো. শফিউদ্দিনের আদালত এ পরামর্শ দেন।

জামিন আবেদন করা বাকি দুজন হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন।

এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, ১০ মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ৯ মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ ও ৬ মামলায় জহির উদ্দিন স্বপনের পক্ষে আমরা জামিন চেয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করি। এসব মামলায় তারা এজাহারনামীয় আসামি তবে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি— হাইকোর্ট তাদেরকে জামিন দিলে রাষ্ট্রপক্ষ এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করতে পারেন। যাতে আরও দীর্ঘদিন তাদেরকে কারাগারে রাখা যায়। তাই আমরা জামিনের আবেদন করেছিলাম। তবে আদালত বলেছেন, এ পর্যায়ে শুনানি গ্রহণ ও আদেশ দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের নেই। এখন আমরা উচ্চ আদালতে যাব।

এনআর/এমজে