নির্বাচন কমিশন আইন ও বিধি সংক্রান্ত বিষয়াদিসহ জরুরি রিটের শুনানি গ্রহণ করতে হাইকোর্ট বিভাগে দুটি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে এ দুই বেঞ্চকে এ সংক্রান্ত রিট শুনানির এখতিয়ার দিয়ে প্রধান বিচারপতির আদেশ জারি করা হয়েছে। 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল এবং আপিল নামঞ্জুর করা হয়েছে সেসব প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করে প্রতিকার চেয়ে থাকেন। মূলত সেসব রিটের শুনানি হবে এ দুই বেঞ্চে।

বেঞ্চগুলো হলো-বিচারপতি আবু তাহের মো.সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো.বশির উল্লাহর বেঞ্চ এবং বিচারপতি মো.ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের বেঞ্চ।

সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন সময়েও মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে সোমবার (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত এ দুই বেঞ্চ নির্বাচন সংক্রান্ত রিটের শুনানি গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে ১১ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির পৃথক আদেশ জারি করা হয়। 

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছিল। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।

এর মধ্যে রোববার (১০ ডিসেম্বর) প্রথম দিনে ৯৪টি আপিল আবেদনের শুনানি হয়। এতে ৫৬ জনের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। ৩২ জনের আবেদন নামঞ্জুর হয় এবং ছয়টি আপিলের রায় পেন্ডিং রাখা হয়। আর চারটি আপিলের বাদী অনুপস্থিত ছিলেন।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনে ৯৯ জনের আপিল আবেদনের শুনানি হয়। এতে ৫১ জন তাদের প্রার্থিতা ফেরত পান। ৪১ জনের আবেদন নামঞ্জুর হয়। আর আটটি আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়নি।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) তৃতীয় দিনে ৯৮ জনের আপিল শুনানি হয়েছে। এতে ৬১ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আপিল আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে ৩৫ জনের। আর দুটি আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়নি।

যাদের আপিল নামঞ্জুর হয়েছে তারা হাইকোর্টে রিট করতে পারবেন।

এমএইচডি/পিএইচ