গ্রামীণ কল্যাণের সাবেক ১০৬ কর্মী শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল থেকে মুনাফার অধিকারী বলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ১০৬ কর্মীর আবেদনের শুনানি নিয়ে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ে (স্ট্যাটাসকো) স্থিতাবস্থা দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত। সেইসঙ্গে বিষয়টি ওইদিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। আর ১০৬ কর্মীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

গ্রামীণ কল্যাণের শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল থেকে মুনাফা (২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত) পেতে শ্রম আইনের ২৩১ ধারায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ১০৬ কর্মী। গত ৩ এপ্রিল এ বিষয়ে রায় দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। যেখানে ২০০৬ সাল থেকে ওই ১০৬ কর্মী শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিলের মুনাফা পাওয়ার অধিকারী বলে রায় দেওয়া হয়। এই রায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩১ মে রুল জারি করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ছয় মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন হাইকোর্ট।

রুলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সাবেক ১০৬ কর্মীর আপিল বিভাগে আবেদন করলে গত ২২ জুন হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। গত ১০ জুলাই আপিল বিভাগ এ-সংক্রান্ত রুল হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। 

প্রসঙ্গত, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান।

/এমএইচএন/কেএ