রাজধানীর আদাবরের একটি হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে প্রথম দিনেই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত হননি। এজন্য আদালত আগামী বছরের ১৪ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন এ তথ্য জানান।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
 
আসামিরা হলেন- আরিফ মাহমুদ জয়, মো. মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, মো. তানভির হাসান, তানিফ মোল্লা, মো. সজীব চৌধুরী, শ্রী অসিম কুমার পাল, মো. লিটন আহম্মেদ, মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ, রেদুওয়ান সাব্বির ওরফে সজিব, ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন, মোছা. ফাতেমা খাতুন ময়না। 

এদিকে আসামি মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ মারা যাওয়ায় ও আসামি ডা. নুশরাত ফারজানার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দানের আবেদন করা হয়। 

আসামিদের মধ্যে অসীম কুমার পাল কারাগারে আছেন। শাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছেন। অপর ১৩ আসামি জামিনে আছেন।

এএসপি আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৮ মার্চ ঢাকার আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

তবে এ মামলার আসামি ডা. নুসরাতের নাম অভিযোগপত্রে আসেনি। আনিসের পরিবারের ধারণা, ডা. নুসরাত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ জন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত তা মঞ্জুর করে পিবিআইকে পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। 

এনআর/জেডএস