শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি শুরু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) তৃতীয় শ্রম আদালতের জেলা ও দায়রা জজ শেখ মেরিনা সুলতানার এজলাস কক্ষে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়।

এরপর আদালতের এজলাস কক্ষে ড. মুহাম্মদ ইউনুসসহ গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহানও কাঠগড়ায় দাঁড়ান। 

পরে ১টা ১৬ মিনিটে শারীরিক অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক ৪ বিবাদীকেই কক্ষের ভেতরে বেঞ্চে বসে শুনানি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেন।

শুনানি শুরুর পর শ্রম আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে এবং নিজেদের নির্দোষ দাবি করে চারজনই আদালতে একই লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর বারোটার পরে তিনি আদালত চত্বরে পৌঁছান। এরপর পায়ে হেঁটে শ্রম ভবনের ভেতর ছয়তলায় এজলাসে প্রবেশ করেন। 

এসময় ড. ইউনূসের সঙ্গে ছিলেন তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

তিনি জানান, আজ ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য করা আছে। তাই ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখানে হাজির হয়েছেন। একইসঙ্গে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর এ মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। 

এই মামলায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ হাসান আলী ও মো. খুরশীদ আলম খান। 

মূলত, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে বাদী হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। এতে ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইন ৪ এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

আরএইচটি/এমএসএ