সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে সুপ্রিম কোর্টে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের ব্যানারে মিছিল বের করেন বিএনপিপন্থি শতাধিক আইনজীবীরা।

পরে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সংলগ্ন সুপ্রিম কোর্টের গেটে এলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এরপর সেখানে অবস্থান করে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। 

এসময় অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে দেশের সাধারণ মানুষ অংশ নেবে না।   

ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের কো-কনভেনর অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, এই সরকার বাংলাদেশে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আপনারা আগেই ঘোষণা দিয়েছেন আরেকটি শাপলা চত্বর করবেন। বাংলাদেশের এই দানবীয় শক্তিকে উৎখাত করতে হলে জনগণের আন্দোলনের বিজয় ছাড়া আর কোনো পথ আমাদের সামনে খোলা নেই।

সুপ্রিম কোর্ট বার এডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি যদি দেশকে ভালোবাসতেন, তাহলে আজকে দেশের অর্থনীতির এ অবস্থা হতো না। দেশকে যদি ভালোবাসতেন দেশে আইনের শাসন থাকত। দেশকে ভালোবাসলে পুলিশ ব্যবহার করে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেন না।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিক, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদল, আইনজীবী আবেদ রাজা, আইনজীবী কে এম জাবির, ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের সমন্বয়ক গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও আইনজীবী ইউসুফ আলীসহ অনেকে। 

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আব্দুল জব্বার ভুইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, ইউএলএফের সমন্বয়ক সৈয়দ মামুন মাহবুব, ইউএলএফের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের কো-কনভেনর মোহাম্মদ আলী, এ কে এম রেজাউল করীম খন্দকার, সাইফুর রহমান, মনিরুজ্জামান আসাদ, মাহমুদ হাসান, তাজরুল হোসেন, মাহফুজুর রহমান মিলন, রেজাউল করীম রেজা, মো. মাহবুবুর রহমান খান ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক ট্রেজারার নাসরিন আক্তারসহ অনেকে।

এমএইচডি/কেএ