ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে জন্ম নেওয়া শিশু ফাতেমাকে তার দাদার কাছে হস্তান্তর করতে আবেদন করা হয়। ওই আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে শিশু ফাতেমাকে তার দাদার কাছে হস্তান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জয়নুল আবেদীন ও অ্যাডভোকেট সাঈদা ইয়াসমিন। তারা জানান, শিশু মোছা. ফাতেমা খাতুন বর্তমানে ঢাকার ছোটমনি নিবাসে আছে। এটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত। শিশু ফাতেমাকে নিজের কাছে হস্তান্তরের জন্য গত ১৭ আগস্ট আবেদন করেন তার দাদা মোস্তাফিজুর রহমান। আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন তার দাদা।

গত বছরের ২৯ আগস্ট ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা মায়ের মৃত্যুর আগে অলৌকিকভাবে জন্ম নেওয়া শিশুটির পরিবারকে ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা দেয় সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড। ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ চেক হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে ৭ আগস্ট অলৌকিকভাবে জন্ম নেওয়া শিশুটির পরিবারকে এক মাসের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওই বছরের ১৯ জুলাই শিশুটিকে দেখাশোনার জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

২০২২ সালের ১৬ জুলাই বিকেলে ত্রিশালের কোর্ট ভবন এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকচাপায় প্রাণ হারান অন্তঃসত্ত্বা রত্না বেগম (৩২), তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) এবং তাদের ছয় বছরের মেয়ে সানজিদা। এ সময় অলৌকিকভাবে মায়ের গর্ভ ফেটে ভূমিষ্ঠ হয় ফুটফুটে এক নবজাতক। পরে নবজাতককে উদ্ধার করে নেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে নেওয়ার পর জানা যায় শিশুটি জীবিত আছে।

এমএইচডি/