গালফ এয়ার পাইলটের মৃত্যু : তদন্তে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিট
ঢাকায় গালফ এয়ারের পাইলট ক্যাপ্টেন ইউসুফ হাসান আল হিন্দির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে ক্যাপ্টেন ইউসুফ হাসান আল হিন্দির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মৃত পাইলটের বোন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক তালা এলহেন্ডিসহ দুইজন এ রিট দায়ের করেন। রিটের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আছেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব।
বিজ্ঞাপন
ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব বলেন, ঢাকায় গালফ এয়ারের পাইলট ক্যাপ্টেন ইউসুফ হাসান আল হিন্দির মৃত্যুর ঘটনায় ১৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) গত জুন মাসে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দীর্ঘদিনেও সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন না করায় আমরা তাদেরকে নোটিশ পাঠাই। কিন্তু তারপরও কোনো কাজ না হওয়ায় আমরা আবার রিট দায়ের করি।
রিটে উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না সেই মর্মে রুল জারির আবেদন জানিয়েছি। একই সঙ্গে নির্দেশ বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়েছি।
রিটে বেসামরিক বিমান সচিব, বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান, গালফ এয়ার, গালফ এয়ারের কান্ট্রি ম্যানেজার, স্টেশন ম্যানেজারসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটটি আগামী সপ্তাহে বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী।
গালফ এয়ারের বিদেশি পাইলট ক্যাপ্টেন ইউসুফ আল হিন্দি ফ্লাইট নিয়ে গত বছর ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন। আসার পরদিন ভোরে অসুস্থ হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হলে ভুল চিকিৎসায় ও অবহেলায় তিনি মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৪ মার্চ ঢাকা মহানগর ২১ নম্বর আদালতে ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রয়াত পাইলটের বোন তালা এলহেন্ডি।
পরে তারা জুন মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৯ জুন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৫ দিনের মধ্যে রিটকারিদের আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। এ আদেশের পরে দীর্ঘদিন অপেক্ষায় রেখে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবেন না বলে তাদের আবেদনটি ফেরত দিয়ে দেয়।
এমএইচডি/জেডএস