আলোচিত কুমিল্লার দাউদকান্দির যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা মামলার আসামি মো. মাসুদের আগামী ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে তার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল দায়ের করতে বলা হয়েছে। আগামী ১৬ অক্টোবর আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।

গত ৩১ আগস্ট আলোচিত যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা মামলার আসামি মো. মাসুদ হাইকোর্ট থেকে তথ্য গোপন করে জামিন পান। গত ৩ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পান আসামি মাসুদ।

গত ১১ মে মালদ্বীপ পালানোর সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে আটক হন মাসুদ। তিনি দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই। গত ৩০ এপ্রিল দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যার মামলার ১০ নাম্বার আসামি গ্রেপ্তারকৃত মো. মাসুদ। 

গত ৩০ এপ্রিল দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে বোরকা পরে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনায় এখন পর্যন্ত আলাদা কয়েকটি অভিযানে একজন শুটারসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব। এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি পিস্তল ও একটি রিভলবার ছাত্রলীগ নেতা মাজহারুল হক সৈকতের কাছ থেকে উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত ২৫ জুন কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বোরকা পরে চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা জামাল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মো. মাসুদকে অস্ত্র মামলায় আদালতে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। পরে তাকে হত্যা মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গত ৯ মে যুবলীগ নেতা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি অত্যাধুনিক অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম সৈকতকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওসি রাজেস বড়ুয়া ১০মে বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় অস্ত্র আইনে ছাত্রলীগ নেতা মাজহারুলসহ ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। 

১৬৪ ধারায় শুটার দেলু, ছাত্রলীগ নেতা মাজহারুল ও গাড়ি চালক সুমন হোসেনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে অস্ত্র সরবরাহে মাসুদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি পরিষ্কার হয়। অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি মাজহারুল ইসলাম সৈকত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মাসুদের অস্ত্র সরবরাহের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেছে।

মাজহারুল আদালতকে জানায়, জামাল হত্যাকাণ্ডের পর অস্ত্রগুলো মাসুদের বাড়িতে সে রেখে আসে৷ তারপর মাসুদ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ব্যাগে করে অস্ত্রগুলো লুকিয়ে রাখে। 

এমএইচডি/এমএসএ