৩ বছর দণ্ডের বিরুদ্ধে রিজেন্ট সাহেদের আপিল
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ তথ্য জানিয়েছেন। গত ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার ওই রায় দেন।
রায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়।
বিজ্ঞাপন
সাহেদের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ গঠন করা হলেও ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় এ দণ্ড দেওয়া হয়। তবে প্রমাণ না হওয়ায় ২৭(১) ধারার অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়। পরে তিনি আপিল করেন।
আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান জানান, আপিলের পর বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ আবেদনটি ৩১ আগস্ট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এখন অন্য কোনো বেঞ্চের কার্যতালিকায় এলে শুনানি হবে।
২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে আটক করে র্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়।
কারাগারে থাকাকালে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিশ পাঠায় দুদক। নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। সাহেদ এরপরও তা জমা দেননি।
এরপর সম্পদের হিসাব না দেওয়া ও অবৈধভাবে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলা করেন।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। এরপর গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকেটি মামলা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন একটি আদালত।
এমএইচডি/এসএম