ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের মানিলন্ডারিং মামলায় রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (৪ এপ্রিল) রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির না করায় রিমান্ড শুনানি হয়নি। তাই ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

এর আগে গত ২৪ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী মাকছুদ সম্রাট-আরমানের তিনদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিক শুনানির জন্য ৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ১০ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনসারী তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের উপ-পরিদর্শক রাশেদুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সম্রাট তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের মাধ্যমে ১৯৫ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেছেন।

মামলার সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৪ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মেসার্স হিস মুভিজ নামে কাকরাইলের একটি অফিসে অবস্থান করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন সম্রাট। সহযোগী আরমানের মাধ্যমে এসব অর্থ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেন তিনি। রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে উপার্জিত এসব অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৯৫ কোটি টাকা।

সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত সম্রাট সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইয়ে দুইবার এবং হংকংয়ে একবার ভ্রমণ করেছেন। এছাড়া তার সহযোগী এনামুল হক আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ২৩ বার ভ্রমণ করেছেন। সম্রাট ও আরমান অবৈধ অর্থ দিয়ে যৌথভাবে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।

টিএইচ/জেডএস