বাংলার দরিদ্র মানুষ তথা জনগণের দিকে তাকিয়ে জুডিশিয়ারিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সুপ্রিম কোর্ট মেডিয়েশন সেন্টার ও সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক উদ্ভাবিত কোর্ট প্রযুক্তি উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

প্রধান বিচারপতি মেডিয়েশন সেন্টার ও সুপ্রিম কোর্ট উদ্ভাবিত তিনটি প্রযুক্তির উদ্বোধন করে মামলার জট কমিয়ে আনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, এখন একটি ক্লিকের মাধ্যমে আপনারা সঙ্গে সঙ্গে জাজমেন্ট পেয়ে যাবেন। মামলার সমস্ত রেকর্ড এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। এভাবেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কিছু সমস্যা থাকবেই। তবে সমস্যার সমাধানও আমাদেরই করতে হবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রধান বিচারপতি হওয়ার পরপরই আমি যেটা ভাবি সেটা হচ্ছে, ক্ষমতা যদি কারও একার হাতে পুঞ্জীভূত থাকে-কেন্দ্রীভূত থাকে তাহলে কোনোভাবেই তার পক্ষে সব কাজ করা সম্ভব না। যদি না, তার সঙ্গে কিছু সমমনা লোক কাজ না করে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই আমি প্রধান বিচারপতি দেশের ৮টা বিভাগের জন্য আটজন বিচারপতিকে দিয়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করি। পরবর্তীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতিরা উল্কার মতো বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। এছাড়া ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলার বিচারকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা শুনেছেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেছেন। ফলে বিভিন্ন জেলার মামলা নিষ্পত্তির হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বাংলার দরিদ্র মানুষ তথা জনগণের দিকে তাকিয়ে বর্তমানে আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় অর্গানগুলো যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, জুডিশিয়ারিকেও সেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমাদের। এই ব্যাপারে সবাই সবাইকে সহায়তা করবেন। তাহলেই জুডিশিয়ারি এগিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এছাড়া আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি নাইমা হায়দার, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় সাবেক প্রধান বিচারপতি তোফাজ্জল হোসেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারসহ সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচডি/এমজে