দেশের মোট ১৩ হাজার ৯৩১ জন দ্বৈত পাসপোর্টধারী নাগরিক পৃথিবীর ১০৪টি দেশে বাস করেন। এর মধ্যে শুধু আমেরিকায় থাকেন দ্বৈত পাসপোর্টধারী ১০ হাজার ৭৭৩ জন বাংলাদেশি। 

এছাড়া আফগানিস্তানে ৯ জন,আলজেরিয়ায় ১ জন, এন্টিগুয়ায় ৫ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ১৭৮ জন, অস্ট্রিয়ায় ৬ জন, বাহামিয়ায় ১ জন, বাহারাইনে ২ জন, বারবাডিয়ায় ১ জন, বেলজিয়ামে ২২ জন, ভুটানে ২ জন, বলভিয়ায় ১ জন, বসনিয়ায় ১ জন, ভারতে ৬১৭ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৩৯ জন। 

ইরানে ৭ জন, ইরাকে ৭ জন, আয়ারল্যান্ডে ১১ জন, ইতালিতে ১১৭ জন, জাপানে ৬৫ জন, জর্ডানে ১ জন, কেনিয়ায় ৩ জন, উত্তর কোরিয়ায় ১ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪১ জন, কুয়েতে ২ জন, কিরগিজস্তানে ২ জন, লাটভিয়ায় ১ জন, লেবাননে ২ জন, লিবিয়ায় ১ জন, মালয়েশিয়ায় ১২৬ জন এবং মালদ্বীপে ১৩ জন।

এছাড়া মালিতে ৪ জন, মরিশাসে ২ জন, মলডাভিয়ায় ২ জন, মঙ্গোলিয়ায় ৫ জন, মিয়ানমারে ৮ জন, ব্রাজিলে ২ জন, ইংল্যান্ডে ৫৬৮ জন, কানাডায় ৪১৫ জন, ব্রুনাইয়ে ২ জন, বুলগেরিয়ায় ১ জন, কম্বোডিয়ায় ২ জন, চাঁদে ১ জন, চিলিতে ১ জন, চীনে ১৭৭ জন, ডেনিসে ৫ জন, জিবুতিতে ১ জন, ডমিনিকান রিপাবলিকে ৩ জন এবং ডাচ ১২ জন।

ইস্ট তিমুরে ১ জন, মিশরে ১১ জন, কোস্টারিকায় ১ জন, সাইপ্রাসে ২ জন, ফাইরু আইল্যান্ডে ১ জন, ফিলিপাইনে ৪০ জন, ফিনিসে ২১ জন, ফ্রান্সে ২১ জন, জার্মানিতে ৬২ জন, ঘানায় ১ জন, গ্রিসে ৩ জন।

হংকংয়ে ১৫ জন, নেপালে ২২ জন, নিউজিল্যান্ডে ১২ জন, নাইজেরিয়ায় ৩ জন, নরওয়েতে ৩ জন, পাকিস্তানে ১১৯ জন, প্যালেস্টাইনে ১ জন, পেরুতে ১ জন, পলিসে ৪ জন, পর্তুগালে ৬ জন।

কাতারে ১ জন, রোমানিয়ায় ৩ জন, রাশিয়ায় ৬৫ জন, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্র্যানাডিয়ান ১ জন, সৌদিতে ১০ জন, সিঙ্গাপুরে ১৭ জন, সোমালিয়ায় ২ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৩ জন, স্পেনে ১১ জন, শ্রীলঙ্কায় ৫৭ জন, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নোভিসে ৪ জন, সুদানে ৭ জন, সুইডেনে ৫০ জন, সোমালিয়ায় ১৪ জন, সুইজারল্যান্ডে ২৩ জন ও তাইওয়ানে ৬ জন। 

এছাড়া তানজানিয়ায় ৮ জন, থাইল্যান্ডে ২৬ জন, তিমুরে ১ জন, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে ১ জন, তুরস্কে ১৫ জন, ইউএইতে ৮ জন, উগান্ডায় ৬ জন, ইউক্রেনে ৪ জন, উজবেকিস্তানে ২ জন, ভেনিজুয়েলায় ২ জন, ভিয়েতনামে ৫ জন, ওয়ালিস অ্যান্ড ফুটানা আইল্যান্ডে ১ জন, ইয়েমেনে ৩ জন, জাম্বিয়ায় ১ জন ও জিম্বাবুয়েতে ১ জন।

বুধবার (৩১ মার্চ) দ্বৈত পাসপোর্টধারী ১৩ হাজার ৯৩১ জন নাগরিকের তালিকা দাখিল করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপারের পক্ষে (ইমিগ্রেশন) অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে এ তালিকা দাখিল করা হয়। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদনের ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর অর্থপাচার ও দুর্নীতির মাধ্যমে যারা বিদেশে বাড়ি নির্মাণ করেছে অথবা কিনেছে, সেই বাংলাদেশিদের মধ্যে যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট আছে এবং যারা দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে-বিদেশে ঘন ঘন আসা-যাওয়া করছেন, তাদের তালিকা চান হাইকোর্ট।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

এমএইচডি/এইচকে