সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘আপনার মধ্যে এমন কী জাদু আছে যে আপনার ফুটবল খেলা দেখতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে?’

এক মামলার শুনানির সময় কথা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘সুমন সাহেব আপনার মধ্যে কী এমন জাদু আছে যে আপনি যেখানেই ফুটবল খেলতে যান সেখানেই মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। নারী-পুরুষ সব শ্রেণির মানুষ আপনার খেলা দেখতে সমবেত হয়। এ সময় বেঞ্চের অপর বিচারপতি খিজির হায়াত একই কথা বলেন। তখন ব্যারিস্টার সুমন কিছুক্ষণ নীরব থেকে বলেন, ‘আমার কাজের সমালোচনা করলে আমি জবাব দিই না। নীরব থাকি। মানুষ আমার কাজকে ভালোবাসে।’

খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে রিট শুনানির এক পর্যায়ে আদালতে এ প্রসঙ্গ উঠে আসে।

পরে আদালত সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন আগামী ৯ আগস্টের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। সালাম মুর্শেদীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানজির মান্নান।

উল্লেখ্য, সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে গত বছরের নভেম্বরে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

রিটের শুনানি নিয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র আদালতে দাখিল করতে (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত।

পরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দুদককে দিতেও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের আদেশ পেয়ে দুদক এ নিয়ে অনুসন্ধান কাজ পরিচালনা করে।

এমএইচডি/এসএম