বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ২৬ কর্মচারীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) এ মামলার চার্জশিট পর্যালোচনা সাপেক্ষে মামলাটি বদলির এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী। 

আদালতের বিমানবন্দর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো: ফরিদ মিয়া বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে গত ২২ জুন বাংলাদেশ বিমানের ডিজিএম মেজর তাইজ ইবনে আনোয়ারসহ বিমানের ২৬ কর্মকর্তা/কর্মচারী ও চার চাকরিপ্রত্যাশী মিলিয়ে মোট ৩০ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট  দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী।

চার্জশিটভুক্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- এমটি অপারেটর জাহাঙ্গীর আলম, মো. মাসুদ, মো. মাহবুব আলী, এমএলএসএস মো. জাহিদ হাসান, অফিস সহায়ক আওলাদ হোসেন, এমটি অপারেটর এনামুল হক, এমএলএসএস হারুন অর রশিদ, এমটি অপারেটর মাহফুজুল আলম, এমএলএসএস সমাজু ওরফে সোবাহান, এমএলএসএস জাকির হোসেন ও হেলপার জাবেদ হোসেন।

২০২২ সালের ২১ অক্টোবর বিকেল ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০০ জন চালকসহ বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে এ পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে তা স্থগিত করা হয়। পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে কিছুক্ষণ পর তারা কেন্দ্র থেকে চলে যান। 

অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) অনুষ্ঠাতব্য ১০ পদের পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। 

পদগুলো হলো- জুনিয়র টেইলর কাম আপহোলস্টার, প্রি-প্রেস অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র এমটি মেকানিক, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিক, জুনিয়র ওয়েল্ডার জিএসই, জুনিয়র পেইন্টার জিএসই, জুনিয়র মেকানিক (টায়ার) জিএসই, জুনিয়র মেকানিক জিএই (ক্যাজুয়াল), জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান জিএসই (ক্যাজুয়াল) ও জুনিয়র অপারেটর জিএসই (ক্যাজুয়াল)।

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর বিমানবন্দর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

এনআর/কেএ