হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তারের হয়ে মিনু নামের অন্য একজনের জেল খাটার ঘটনাটি হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি নজরে  আনেন। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আইনজীবী শিশির মনির জানান, বিষয়টি নজরে এনে মেনশন স্লিপ দিয়েছি। আগামীকাল বিষয়টি শুনানির জন্য আসবে।

এর আগে গত ২৪ মার্চ চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমী নামে এক নারীর বদলে সাজা ভোগ করা মিনুর নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

কারাগারের একটি বালাম বই দেখতে গিয়ে মিনুর সাজা খাটার বিষয়টি উঠে আসে। সেখানে দেখা যায় কুলসুমীর পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন মিনু নামে অন্য এক নারী। পরবর্তীতে বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে এ মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউট (পিপি) মো. নোমান চৌধুরী বলেন, আদালতে সংরক্ষিত ছবি সম্বলিত নথিপত্র দেখে কুলসুম আক্তার কুলসুমী আর মিনু এক নয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।  

একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবনসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে। কিন্তু আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল খাটছেন মিনু নামে এক নারী। নামের মিল না থাকার পরও কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলে মিনু চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন দুই বছর ৯ মাসের বেশি সময়। 

এমএইচডি/এনএফ