ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ দিন ধার্য করেন। এদিন মামলা দুটির অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলা দুটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। এজন্য বিচারক অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন। 

সংশ্লিষ্ট আদালতে বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন বিষয়টি জানিয়েছেন।

জানা যায়, অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে করা দুটি মামলার এজাহারের অভিযোগ এবং বর্ণনা প্রায় একই রকম।

একটি মামলার বাদী নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম এবং অন্যটির কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক আরিফ হোসেন। দুই মামলার বাদীই দায়িত্ব পালনকালে ইউটিউব দেখতে গিয়ে খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর (অব.) দেলোয়ার হোসেনের ভিডিও দেখতে পান। তারপর দুজনই নিজ নিজ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, খাদিজাতুল কুবরা ও দেলোয়ার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের বৈধ সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মনগড়া, বানোয়াট, মিথ্যা, মানহানিকর অপপ্রচার চালিয়ে আসছিলেন। আসামিরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ সৃষ্টির অপচেষ্টাসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের প্রয়াস চালাচ্ছেন।

এদিকে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট খাদিজার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার জজ আদালত। এরপর গতকাল (১০ জুলাই) এই দুই মামলায় তার জামিন শুনানি চার মাসের জন্য মুলতবি করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। এ সময়ে তার জামিন স্থগিত থাকবে।

এনআর/এসএম