রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির মামলার মূল আসামি মো. মাহফুজুর রহমানকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ২৫ মার্চ হাইকোর্টে জামিন হলেও সোমবার (২৯ মার্চ) মাহফুজুর রহমানের জামিন পাওয়ার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

আদালতে আসামি মাহফুজের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন ও অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ বলেন, আসামি মো. মাহফুজুর রহমানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আমরা আপিল বিভাগে আবেদন করব।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলা সাঁকোপাড়া এলাকার একটি মেসে নিয়ে যান। সেখানে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তিনি। ওই সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন তার বন্ধু বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী প্লাবন সরকার, রাফসান, জয়, জীবন ও বিশাল। পরে সেই ভিডিওর হুমকি দিয়ে ছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। তাদের দাবি করা টাকা না দিলে ধারণ করা ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গভীর রাতে ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দেন তারা।

একই বছরের ২৭ জানুয়ারি ওই ছাত্রী মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে মাহফুজুর রহমান এবং তার দুই বন্ধু প্লাবন সরকার ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র রাফসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে ধর্ষণের ভিডিওসহ মোবাইল জব্দ করা হয়।

এমএইচডি/এফআর