নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত বাংলাদেশ বিমানের ২৬ কর্মচারীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে ডিবি পুলিশ।

বুধবার (৫ জুলাই) আদালতের বিমানবন্দর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. ফরিদ মিয়া বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত ২২ জুন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী আদালতে এ চার্জশিট  দাখিল করেন।

চার্জশিটভুক্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিমানের ডিজিএম মেজর তাইজ ইবনে আনোয়ার, এমটি অপারেটর জাহাঙ্গীর আলম, মো. মাসুদ, মো. মাহবুব আলী, এমএলএসএস মো. জাহিদ হাসান, অফিস সহায়ক আওলাদ হোসেন, এমটি অপারেটর এনামুল হক, এমএলএসএস হারুন অর রশিদ, এমটি অপারেটর মাহফুজুল আলম, এমএলএসএস সমাজু ওরফে সোবাহান, এমএলএসএস জাকির হোসেন ও হেলপার জাবেদ হোসেন।

২০২২ সালের ২১ অক্টোবর বিকেল ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০০ চালকসহ বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে তা স্থগিত করা হয়। পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে কিছুক্ষণ পর প্রার্থীরা কেন্দ্র থেকে চলে যান। অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিতব্য ১০ পদের পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। 

পদগুলো হলো- জুনিয়র টেইলর কাম আপহোলস্টার, প্রি-প্রেস অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র এমটি মেকানিক, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিক, জুনিয়র ওয়েল্ডার জিএসই, জুনিয়র পেইন্টার জিএসই, জুনিয়র মেকানিক (টায়ার) জিএসই, জুনিয়র মেকানিক জিএই (ক্যাজুয়াল), জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান জিএসই (ক্যাজুয়াল) ও জুনিয়র অপারেটর জিএসই (ক্যাজুয়াল)।

প্রশ্নফাঁসের এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।

এনআর/জেডএস