ছবি- সংগৃহীত

নিজ প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করা রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ৬০ বছরের বৃদ্ধ খন্দকার মুশতাক আহমেদকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘মেয়ে ছোট মানুষ, হয়তো আবেগের বশে বিয়ে করে ফেলেছে। এই বিয়ে টিকবে তো? শেষ পর্যন্ত বিয়ে টিকিয়ে রাখতে পারবেন তো? টেকাতে পারলে ভালো।’

মঙ্গলবার মেয়ের বাবার করা মামলায় মুশতাকের আগাম জামিনের শুনানিতে বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

এ সময় আদালত মুশতাকের আইনজীবী সোহরাব হোসেন পলাশের কাছে জানতে চান, মুশতাক আহমেদ কি মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করেছেন?

মুশতাকের আইনজীবী হ্যাঁ সূচক জবাব দেন।

এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান বলেন, এ তো দেখছি একেবারে হুমায়ুন আহমেদের মতো কাহিনি। এদের তো বয়সে ব্যাপক পার্থক্য। মেয়ের বাবার বয়স ৪০ বছর। আর মেয়ের স্বামীর বয়স ৬০ বছরের বেশি। একেবারে বেমানান।

শুনানি শেষে আদালত অপহরণের অভিযোগে মেয়ের বাবার দায়ের করা মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদকে ৬ মাসের আগাম জামিন দেন।

জামিন শুনানির সময় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও তার স্ত্রী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম হাইকোর্টে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. সোহরাব হোসেন পলাশ ও জাহিদুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।

আইনজীবী সোহরাব হোসেন পলাশ বলেন, আইডিয়ালের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলামকে গত মার্চ মাসে খন্দকার মুশতাক বিয়ে করেছেন। সিনথিয়ার বয়স এখন ১৮ বছর ৪ মাস। গত ২২ জুন সিনথিয়ার বাবা ঠাকুরগাঁওয়ের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ‍মুশতাকের বিরুদ্ধে অপহণের মামলা করেছেন।

এমএইচডি/