ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের পর মায়ের মৃত্যু
জামিন মেলেনি সেন্ট্রালের সেই দুই চিকিৎসকের
রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসক ডা. মুনা সাহা ও ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানার জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২১ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন আসামিদের পক্ষে জামিন চেয়ে শুনানি করেন ঢাকা বারের সভাপতি মিজানুর রহমান মামুনসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। অপরদিকে রাষ্ট্র পক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৫ জুন আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওইদিন আসামিরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রাসেল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমীর আদালত আসামি শাহজাদীর ও ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত আসামি মুনার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল হসপিটালের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) অধীনে গত ৯ জুন ভর্তি হয়েছিলেন মাহাবুবা রহমান আঁখি। কিন্তু সে দিন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালেই ছিলেন না। পরে তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির ডিলেভারি করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। একই সঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ১০ জুন বিকেলে আঁখির নবজাতক সন্তান মারা যায়। এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী ধানমন্ডি থানায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র একটি মামলা দায়ের করেন ইয়াকুব আলী।
মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার (১৮ জুন) দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুবা রহমান আঁখিও।
এনআর/এসকেডি