চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার আবদুস সবুর হত্যা মামলায় মো. জাবেদ ও হাবিজ আহমদ নামে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মিন্টু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে ৪ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- নুরুল আলম মেম্বার, হোসনে আরা, তারা বানু ও পেয়ার আহমদ।

বুধবার (৩১ মে) চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুহাম্মদ আমিরুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় সাত আসামির সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ৫ নভেম্বর সিমেন্টের পিলার গেড়ে একটি জমি দখলের চেষ্টা করে আসামি জাবেদ ও তার সহযোগীরা। এতে আবদুস সবুর ও তার ভাইসহ কয়েকজনে মিলে বাধা দেয়। একপর্যায়ে আবদুস সবুরকে দেশীয় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত সবুরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় সবুরের স্ত্রী খুরশিদা বেগম বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন কর্ণফুলী থানার তৎকালীন এসআই উৎপল বড়ুয়া। তিনি ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ফরিদ আহমদ মারা যান। এরপর ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয় এবং মামলাটির বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। বিচার শুরুর পর ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর আরেক আসামি ছবির আহমদ মারা যান। বাকি ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলতে থাকে। 

অতিরিক্ত মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলাটির বিচারিক প্রক্রিয়ায় মোট ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। রায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

এমআর/এমএ