অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য টাকা নিয়েও না যাওয়ায় আয়োজকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। পরে আবারও গান গাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২২ মে) আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্তি পেয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় নোবেল বলেন, উত্তরবঙ্গ ও শরীয়তপুরের প্রোগ্রাম নিয়ে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি কথা দিলাম, উত্তরবঙ্গ ও শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ গিয়ে পরবর্তীতে প্রোগ্রাম দুটি আবার করে দিয়ে আসব। যা হয়েছে তার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

এর আগে দুপুরে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তার আইনজীবী আদালতে জামিননামা দাখিল করেন। তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় জামিননামা যাচাই-বাছাই করে আদালতের হাজতখানা থেকে তাকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

এদিন দুপুরে একদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। অন্যদিকে তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এছাড়া মামলার বাদী (মো. সাফায়েত ইসলাম) টাকা ফেরত পেয়েছেন বলে বিষয়টি বিচারকের সামনে তুলে ধরেন। এসময় বাদী আসামি নোবেলের জামিনে আপত্তি নেই বলে জানান।

এর আগে গত ২০ মে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, অগ্রিম টাকা নিয়ে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম।  

গত ১৭ মে আদালত এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে মোট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়। পরে নোবেলকে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তবে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণা করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন তিনি।

এনআর/এসএসএইচ/