চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুম নামে এক নারীর বদলে সাজা ভোগ করা মিনুর নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৪ মার্চ) দুপুরে হাইকোর্টের আদান-প্রদান শাখার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে এম ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, কিছুক্ষণ আগে চট্টগ্রামের আদালত থেকে বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে আমাদের কাছে ১১ পৃষ্ঠার মিনুর নথি পাঠানো হয়েছে। এগুলো নথি শাখায় পাঠিয়ে দেব।

এর আগে গতকাল ২৩ মার্চ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমী নামে এক নারীর বদলে সাজা ভোগ করার অভিযোগ আনা মিনুর উপ-নথি হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞার আদালত এ আদেশ দেন।

কারাগারের একটি বালাম বই দেখতে গিয়ে মিনুর সাজা খাটার বিষয়টি উঠে আসে। সেখানে দেখা যায়, একজনের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন এই নারী। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে এ মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. নোমান চৌধুরী বলেন, আদালতে সংরক্ষিত ছবি সংবলিত নথিপত্র দেখে কুলসুম আক্তার কুলসুমী আর মিনু এক নয় বলে নিশ্চিত হয়েছেন। যেহেতু ইতোমধ্যে এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে তাই মামলার উপ-নথি দ্রুত সময়ের হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

হত্যা মামলায় আদালত কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবনসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন। কিন্তু আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল খাটছেন মিনু নামে এক নারী। নামের মিল না থাকার পরও কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলে মিনু দুই বছর নয় মাস ১০ দিন যাবৎ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

কোনো কিছুর মিল না থাকায় একজনের স্থলে আরেকজন জেল খাটার বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান।  

এমএইচডি/ওএফ/এমএমজে