পুলিশ পরিচয়ে ঢাকার নবাবগঞ্জে ব্যবসায়ীর ১৫০ ভরি সোনা ও ২০০ ভরি রূপা ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ৯ জনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৯ মে) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে অপর তিনজন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
 
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- হুমায়ুন মিয়া, শাকিল খান, জাহাঙ্গীর মল্লিক, আব্দুস সামাদ শিকদার, হুমায়ুন কবির, নজির হোসেন, শ্যামল সরকার, রিপন মিয়া, শাহাদাত হোসেন গাজী। 

এদিন ১২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামি মুক্তার, সাইফুল ও মান্নান স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এছাড়া অপর ৯ আসামির দশ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নবাবগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. আশফাক রাজিব হাসান। শুনানি শেষে আদালত তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

আদালতে নবাবগঞ্জ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নবাবগঞ্জের আগলা বাজারে স্বর্ণ ব্যবসায়ী কৃষ্ণ সাহার জুয়েলার্সের দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের মতো গত ৩০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ১৫০ ভরি সোনা ও ২০০ ভরি রূপা এবং নগদ দুই লাখ ৬৫ হাজার টাকা সঙ্গে নিয়ে তিনি ব্যাটারিচালিত রিকশায় দোকানে রওনা করেন। পুলিশ পরিচয় দিয়ে একটা মাইক্রোবাস তার গতিরোধ করে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলে গাড়িতে তোলা হয়। এরপর তার কাছে থেকে সোনা, রূপা ও নগদ টাকা নিয়ে নেয় আসামিরা। চোখ, মুখ ও পা বেধে ফেলে এবং হ্যান্ডকাফ পড়ানো হয়। মাইক্রোবাসের সিটের নিচে ফেলে তাকে মারধর করা হয়। ২০/২৫ মিনিট মাইক্রোবাস চলার পর মানিকগঞ্জের সিংগাইর এলাকায় তাকে ফেলে চলে যায় আসামিরা। 

এ ঘটনায় গত ১ মে ব্যবসায়ী কৃষ্ণ সাহা বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত ৫/৬ ডাকাতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এনআর/এমএ