রোগী বহনকারী বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সকে বানিজ্যিকরণের বিষয়ে বিআরটিএ'র নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভাড়ায় চলাচলের সময় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সকে জরিমানা না করার জন্য কেন নির্দেশ প্রদান করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এস এস আরেফিন জুননুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, আইজিপি, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ, ট্রিপল নাইন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে মোহাম্মদপুরের শরিফুল আলম মেহেদী নামে এক অ্যাম্বুলেন্সের মালিক রিট দায়ের করেন। রিটে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সকে বানিজ্যিকরণের বিষয়ে বিআরটিএ'র নিস্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।

রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার এস এস আরেফিন জুননুন বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর  ২৮ ধারায় ভাড়ায় চলাচলের জন্য রুট পারমিটের বিধান রয়েছে। কিন্তু উক্ত আইনের ৩১ ধারায় অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে রুট পারমিট প্রযোজ্য নয় মর্মে বিধান রাখা হয়েছে। এরূপ ক্ষেত্রে উক্ত আইনের ৩১ ধারা মোতাবেক রুট পারমিট ব্যতীত চালানো যায়, এ ধরনের মোটরযানকে কর্তৃপক্ষ বিশেষ ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ উক্ত বিধান প্রতিপালন না করেই বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সসহ সরকারি অ্যাম্বুলেন্সকে ভাড়ায় চালানো যাবে না মর্মে রেজিস্ট্রেশন প্রদান করে। যা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে অ্যাম্বুলেন্সকে বানিজ্যিকরণের বিষয়ে বিআরটিএ'র নিস্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করি।

এমএইচডি/এমজে