৬ষ্ঠ বারের মতো পেছাল নববধূ মনিরা হত্যা মামলার রায়
রাজধানীর খিলক্ষেতে বিয়ের তিনদিনের মাথায় নববধূ মনিরা পারভীনকে হত্যা মামলার রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৭ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (৫ এপ্রিল) মামলাটির রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় রায়ের তারিখ পিছিয়ে ৭ মে দিন ধার্য করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক মাফরোজা পারভীনের আদালত। এনিয়ে এ মামলায় ৬ষ্ঠ বারের মতো রায়ের তারিখ পেছাল।
বিজ্ঞাপন
মামলার আসামিরা হলেন- মনিরার স্বামী নাসির হোসেন, ভাই মাসুদ, বোন হাসিনা, তার স্বামী মিলন, মিলনের ভাই দেলোয়ার হোসেন ও নাসিরের চাচা দিন ইসলাম। তারা সবাই জামিনে আছেন। এদিন তারা আদালতে হাজিরা দেন।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মনিরা ওষুধ কেনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরিবার তার কোনো সন্ধান পাচ্ছিল না। পরদিন লোকমুখে জানা যায়, নাসির হোসেন কাজী অফিসে নিয়ে তাকে বিয়ে করেছে। একথা শোনার পর নাসিরের বাবা হাছেন আলীর কাছে যান মনিরার বাবা মোস্তফা। তিনি তার মেয়েকে উদ্ধার করে ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
তখন হাছেন আলী ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা না দিলে বাবা ও মেয়েকে খুনের হুমকি দেন তিনি। পরদিন মনিরাকে নিয়ে তার বাড়িতে ফিরে আসেন নাসির। বাড়িতে আসার সঙ্গে সঙ্গে নাসিরের বাবা ও মাসহ পরিবারের অন্যরা মিলে মনিরাকে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পাশের একটি বালুর মাঠে ফেলে রাখেন। স্থানীয় লোকজন মনিরাকে উদ্ধার করে আশিয়ান সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ২২ জুন সকালে মনিরা মারা যান।
এ ঘটনায় ২২ জুন খিলক্ষেত থানায় মামলা দায়ের করেন মনিরার বাবা মোস্তফা। মামলায় নাসিরের বাবা, মা ও চাচাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কেএম আশরাফ উদ্দিন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
এনআর/কেএ