শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৩ এপ্রিল) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ শুনানি করেন।

এর আগে, গত ১৩ মার্চ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণের উপায় জানতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কবিরুল বাশারের মতামত জানতে চান হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ নিজেই শুনানি করেন। বেবিচকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাইফুর রশীদ। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রিমি নাহরীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

ওইদিন আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেছিলেন, সিটি কর্পোরেশন ও বেবিচক এখন পর্যন্ত চারটি সমীক্ষা (সার্ভে) প্রতিবেদন দিয়েছে আদালতে। সর্বশেষ ৬ মার্চ যে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় সেটিতে দেখা যায়, বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় মশার ঘনত্ব উল্লেখ নেই। তার মানে বিগত সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া সমীক্ষার সুপারিশ অনুযায়ী মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে সেটিও প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই। যে কারণে দুটি প্রতিবেদন নিয়েই আপত্তি তুলেছিলাম। তখন আদালত আমার মতামত জানতে চেয়েছিলেন। আমি আবেদন করে সিটি কর্পোরেশন ও বেবিচকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও জাবির শিক্ষক কবিরুল বাশারের মতামত নিতে আর্জি জানিয়েছিলাম। আদালত সে অনুযায়ী আদেশ দিয়েছেন। পরে আদালতে এসে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশার উপদ্রব থেকে সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ২০১৯ সালের ৩ মার্চ হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। রিটের প্রাথমিক শুনানির পর ১২ মার্চ হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী, দর্শনার্থীসহ অন্যদের মশার উপদ্রব থেকে রক্ষায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

এমএইচডি/এসএসএইচ/