রহমত উল্লাহ নামে এক প্রযোজকের বিরুদ্ধে এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করতে সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে আদালতে আসেন তিনি। এ দিন আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) একই আদালতে তিনি মামলা করতে এলে বিচারক মামলা ফাইলিংয়ের সময় চলে যাওয়ায় মামলা না নিয়ে তার আইনজীবীকে আজ সোমবার আসতে বলেন।

শাকিব খানের আইনজীবী তানভীর আহমেদ তনু বিষয়টি জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামী ৬ জুনের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন : নাইট ক্লাবে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান শাকিব, রহমতকে দিয়েছেন ৪০ লাখ

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে রহমত উল্লাহ নামে এক প্রযোজকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। মামলার অভিযোগে শাকিব উল্লেখ করেন, তিনি নাইট ক্লাবে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। এছাড়া আসামি রহমত উল্লাহ তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৪০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।

অন্যদিকে, আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে গত মঙ্গলবার (২১ মার্চ) শাকিব খানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। রহমত উল্লাহর পক্ষে অ্যাডভোকেট তবারক হোসেন ভুঁইয়া এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে শাকিব খানকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহ শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁসানো, অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও নারী সহ-প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন শাকিব খানের বিরুদ্ধে।

এই প্রযোজকের নামে মানহানি মামলা করতে গত শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে গুলশান থানায় গিয়েছিলেন শাকিব খান। সেখানে তার মামলা নেওয়া হয়নি। পরের দিন রোববার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন বলে গণমাধ্যমকে জানান শাকিব খান। সেখানে শাকিব তার বক্তব্যে গণমাধ্যমের কাছে রহমত উল্লাহকে ‘বাটপার, প্রতারক ও ভুয়া প্রযোজক’ বলে উল্লেখ করেন।

এনআর/এসএসএইচ/