সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনে করা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)  অধিকতর তদন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নিজমুদ্দিন ফকির বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে ২৩ জানুয়ারি মামলার দায় থেকে রোজিনার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিপক্ষে মামলার বাদীর অনাস্থার (নারাজি)  আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পিবিআইকে মামলাটি অধিকতর করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। 

গত ১৫ জানুয়ারি একই আদালতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলায় কোনো সত্যতা না পাওয়ায় ডিবি পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে ঐদিন মামলার বাদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী নারাজি দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করলে বিচারক তা গ্রহণ করেন।

এর আগে গত বছরের ৪ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মামলার দায় হতে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোর্শেদ আলম খান।

২০২১ সালের ১৭ মে দুপুরের পর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে রোজিনাকে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একজন উপ-সচিব তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের’ ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়।

এজাহারে বলা হয়, রোজিনা যেসব নথির ‘ছবি তুলেছেন’, তার মধ্যে ‘টিকা আমদানি’ সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল। এরপর রোজিনা ইসলামকে আদালতে হাজির করে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।  শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এরপর তাকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়।

একই বছরের ২৩ মে সকালে রোজিনাকে আদালতের পক্ষ থেকে জামিন দেওয়ার পর বিকেলে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন।

এনআর/এমএ