দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় ডিআইজি প্রিজন পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন মাহবুবুল আলম। এদিন তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১৫ মার্চ ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মতিয়ার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম বিশেষ জজ আদালত-১০-এ চলছিল। কিন্তু গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মামলাটি নিয়ে বিব্রত বোধ করায় মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ বদলির আদেশ দেন।

গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এর আগে গত ২৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই কারাগারের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে অভিযানে যায় দুদক। বিকেলে ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপালের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। এরপরই আটক করা হয় তাকে। পরদিন ২৯ জুলাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্তকৃত কারা উপমহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন করে তার নামীয় কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

টিএইচ/এনএফ