গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেল ও চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

রোববার (২২ জানুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন বিশ্ব ইজতেমা চলমান থাকায় কারাগারে থাকা আসামি রাসেলকে আদালতে হাজির করেনি পুলিশ। এজন্য অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন বিচারক। 

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিন আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন শামীমা। সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পাশাপাশি মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আজ (২২ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেন।

এর আগে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি দায়ের করেন আলমগীর হোসেন নামের এক গ্রাহক। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকে ইভ্যালি সম্পর্কে জানতে পারেন। সেখানে ইলেকট্রনিক্স পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের কম মূল্যে অফার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজার মূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেখতে পান। পরবর্তীতে তিনি ইভ্যালি অ্যাপসের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দুইটি মোবাইল নম্বর দিয়ে দুইটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। তিনি নিজের আইডি দিয়ে আনুমানিক ৫ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। আরেকটি আইডি বন্ধুর নামে খুলে ২৩ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। 

তিনি দুই আইডি দিয়ে সর্বমোট ২৮ লক্ষাধিক টাকার অর্ডারের জন্য বিকাশ/নগদ ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা প্রেমেন্ট করেন। ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের পরিবর্তে ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও তার অর্ডার করা পণ্যগুলো বুঝিয়ে দেয়নি। এ ব্যাপারে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে। তিনি আজ পর্যন্ত অর্ডার করা মোট ২৮ লাখ টাকা মূল্যের পণ্য বুঝে পাননি। 

এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা কম মূল্যে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে দেশের অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। 

এ মামলার তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাস।

এনআর/কেএ