নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি শাহজাহানের জামিন বহাল
বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রাস্টি শাহজাহানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় শর্ত সাপেক্ষে শাহজাহানকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা জানান, দুটি শর্তে তাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেগুলো হলো—দেশের বাইরে যেতে পারবেন না ও অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন না।
গত ১০ নভেম্বর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই ট্রাস্টি এম এ কাশেম ও রেহানা রহমানকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। গত ২২ মে শাহজাহানসহ চারজনের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরদিন তাদের বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে, তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। গত গত ৫ মে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
আসামিরা হলেন—নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের তৎকালীন চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, শাহজাহান ও আশালয় হাউজিং ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অভিযুক্তরা ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন। এরপর নিজেরা উক্ত এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য উক্ত অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।
এমএইচডি/কেএ