চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই কিশোরীর শিশু সন্তানের পিতা হিসেবে দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম ব্যবহারের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম মো. শাহজাহান। তিনি মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জের কাটাছড়া তেমুহনী এলাকার মৃত শাহ আলমের সন্তান।

আদালত সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ১৫ মে চট্টগ্রাম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। তবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন ওসি। 

ওসির সেই প্রতিবেদনে নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদী। আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এদিকে আদালতে আসামি ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানকে অস্বীকার করেন। এরপর বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামির ডিএনএ টেস্ট করা হয়। ডিএনএ টেস্টে প্রমাণিত হয় জন্ম নেওয়া শিশুটি ধর্ষকেরই। এই মামলায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর অভিযোগ গঠন হয়। এরপর ছয়জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ (রোববার) আদালত রায় ঘোষণা করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রাম-৭-এর সরকারি কৌঁসুলি খন্দকার আরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ আদালত অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করেছি। আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন, ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশু দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকেরই। আসামির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্র শিশুটির ব্যয়ভার বহন করবে। শিশুটি জন্মসনদ থেকে শুরু করে যাবতীয় নথিতে অভিযুক্ত যুবককে পিতা হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে।

এসকেডি/এসকেডি