হাজারো আইনজীবী, বিচারপতির অংশগ্রহণে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রখ্যাত ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। তার প্রায় ৬০ বছরের প্রিয় কর্মস্থল থেকে অশ্রুজলে শেষ বিদায় জানিয়েছেন সহকর্মীরা।

রোববার (১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী চত্বরে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি আবু জাফর।

আরও পড়ুন>>অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই

নামাজে জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আপিল বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ হাজারো আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন।

জানাজার আগে খন্দকার মাহবুব হোসেনের জীবনী পাঠ করে শোনান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলাল। 

আরও পড়ুন>>বাসেতের জন্য খন্দকার মাহবুবের ‘এক ফোঁটা চোখের জল’

শনিবার রাতে প্রখ্যাত ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন মারা যান। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের ফুসফুসে হঠাৎ পানি আসায় সোমবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়।

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায়। তিনি ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত।

আরও পড়ুন>>নয়াপল্টনে খন্দকার মাহবুবের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত

খন্দকার মাহবুব হোসেন ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। ২০১৬ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদ পান।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসন থেকে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। ওই আসন থেকে আগেও অন্য দল থেকে একাধিক বার তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এমএইচডি/এমএ