প্রখ্যাত ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন।

শনিবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।

আরও পড়ুন : খন্দকার মাহবুবকে স্বাগত জানালেন প্রধান বিচারপতি

বিষয়টি নিশ্চিত করে খন্দকার মাহবুব হোসেনের জুনিয়র অ্যাডভোকেট শিশির মনির ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাত ১০টা ৪০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসাপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রখ্যাত ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। শোক বার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের ফুসফুসে হঠাৎ পানি আসায় গত সোমবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়। গতকাল রাত থেকে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : বাসেতের জন্য খন্দকার মাহবুবের ‘এক ফোঁটা চোখের জল’

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায়। তিনি ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত।

খন্দকার মাহবুব হোসেন ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। ২০১৬ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদ পান।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসন থেকে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। ওই আসন থেকে আগেও অন্য দল থেকে একাধিক বার তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এমএইচডি/এসকেডি