রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানের ফের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে আট দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল বাসার। অন্যদিকে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। 

রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূরের আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের যাত্রাবাড়ীর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তখন আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টায় রাজধানীর উত্তরা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে।

গত ৯ নভেম্বর শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। ছেলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

শফিকুর রহমান জামায়াতের আমির হিসেবে শপথ নেন বছর তিনেক আগে। এরপর ২০২৩-২৫ কার্যকালের জন্য ডা. শফিকুর রহমান আবারও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হন। 

গত ২৭ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর অফিস সেক্রেটারি আ ফ ম আবদুস সাত্তার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

শফিকুর রহমানের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়। তিনি সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। একসময় ছাত্রশিবিরের সিলেট শহর শাখার সভাপতি ছিলেন।

এনআর/জেডএস/এসএম