ডিআইজি মিজানের মামলায় সাক্ষ্য দিলেন পৌর মেয়র
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। যাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে তারা হলেন- বরিশাল জেলার মেহেদিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কামাল উদ্দিন খান ও ডাচ বাংলা ব্যাংক এলিফেন্ট রোড শাখার ম্যানেজার আরিফুল হক।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। জেরা শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য ২৩ মার্চ দিন ধার্য করেন বিচারক। আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) হেলাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
গত বছরের ২০ অক্টোবর ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। মিজান ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
এর আগে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিআইজি মিজানের স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ওই বছরের ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্র ভুক্ত আসামিরা হলেন- ডিআইজি মিজান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
২০১৯ সালের ১ জুলাই মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরদিন (২ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির করা হয় তাকে। এরপর তার পক্ষে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ২০১৯ সালের ৪ জুলাই মিজানের ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক সে আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারা দুজনেই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ করা হয়।
টিএইচ/এনএফ