দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনে উচ্চ আদালতের আদেশে একের পর এক বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সচল হচ্ছে।

বিএনপির আইনজীবীদের অভিযোগ, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটির নেতাদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা ও চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করতে সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। তার অংশ হিসেবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুদককে দিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মামলা সচল করা হচ্ছে। 

তবে দুদক আইনজীবী বলছেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে টার্গেট করে নয়। দীর্ঘ দিন ধরে পড়ে থাকা পুরাতন  মামলা সচল ও নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, জয়নাল আবেদীন ফারুক, বিএনপির সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল দুলুর মামলা সচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো.খুরশিদ আলম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাইকোর্টে কিছু রুল, আপিল নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষমাণ ‍ছিল। এগুলো আমরা মেনশন করে শুনানির উদ্যোগ নিয়েছি। যেমন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মামলা ১০ থেকে ১২ বছর ধরে পড়েছিল। কারণ, যারা রিট করেছেন, আপিল করেছেন, তারা শুনানির কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। দুদক নিজেই এখন এসব মামলা শুনানির উদ্যোগ নিচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকবে।

জানতে চাইলে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে পুরাতন মামলা সচল করা হচ্ছে। আবার নতুন নতুন মামলা দেওয়া হচ্ছে। গত কয়েকদিনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১০৩টি গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। এ মামলাগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধানকে তোয়াক্কা না করে নিজস্ব পদ্ধতিতে এই গায়েবি মামলা দায়ের করছে।  

আরও পড়ুন : জোর করে বিয়ে দিতে চান সিলেটী মা : হাইকোর্টে ব্রিটিশ কিশোরী

তিনি বলেন, লোকে বলে দুর্নীতি দমন কমিশন বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে। বিএনপিকে দমনের জন্য একদিকে পুলিশ আর অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন আর আদালতের ওপর ভর করে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের আসল উদ্দেশ্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির নেতৃত্বে যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনকে গলাটিপে হত্যা করা। এজন্য তারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে।  

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিএনপির সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের যে জনসমর্থন আছে সেটা সরকার কোনোভাবেই চাপিয়ে রাখতে পারছে না। সে কারণে দুদক, আইন-আদালতের মাধ্যমে অপকৌশলে তাদের ভবিষ্যতে আরও রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য আইনগতভাবে দেশের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে।

সচল হলো মির্জা আব্বাসের দুর্নীতি মামলা

গত ২৫ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে এ মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুর রেজাক খান ও সগীর হোসেন লিয়ন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। 

আরও পড়ুন : আদালতের আদেশ অমান্য : এবি ব্যাংকের সেই দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত

খুরশিদ আলম খান বলেন, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শফিউল আলম ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ৫ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ২৩৪ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮১ টাকা তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শফিউল আলম ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট  রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলা বাতিলে হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন খারিজ হয়। পরে মামলা বাতিলে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। আপিল বিভাগও মির্জা আবেদনের খারিজ করে দেন।

১০ বছর পর সচল গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মামলা

জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বিচারিক আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

গত ৩ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। গয়েশ্বরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী।

আরও পড়ুন : উচ্চ আদালতের ‘জিরো টলারেন্স’

২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা থানায় গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। পরে বিচারিক আদালতে এই মামলার বিচার শুরু হয়। এরপর মামলাটি স্থগিত চেয়ে ২০১০ সালে আবেদন করেন গয়েশ্বর। একই বছর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। দীর্ঘ ১২ বছর বন্ধ থাকার পর স্থগিতাদেশ বাতিল করে মামলাটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট।

টুকু-আমানের আপিল শুনানি শুরু

দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমান উল্লাহ আমানের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি আগামী সপ্তাহে শুরু হবে।

গত ২৩ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ  আদেশ দেন।

আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।

৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী। 

কমিশনের উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছরের ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র পেশ করেন।

পরে ওই বছরের ১৫ নভেম্বর এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন টুকু। পরে সেই আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

এদিকে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। পরে ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন হাইকোর্ট।

পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।

আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন আমান। পরে সেই আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর হাইকোর্ট বিভাগে এসব আপিলের পুনঃশুনানি শুরু হয়।

জয়নুল আবেদীন ফারুকের সম্পদের বিবরণী মামলার শুনানি শুরু

সম্পদের বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুকের বিরুদ্ধে করা মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই আবেদনের ওপর  ২১ নভেম্বর শুনানি শুরু হয়। প্রথম দিনের শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত।    

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 
মামলার অভিযোগে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ১৩ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো থেকে জয়নাল আবেদীন ফারুককে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়। পরে একই বছরের ২৬ মে আবারও সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়। দুবার সম্পদের বিবরণী দাখিল করার নোটিশ দিলেও তিনি তা দাখিল না করায় দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলা করে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, জয়নাল আবেদীন ফারুক ও তার স্ত্রী এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের নামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিবরণ দাখিল করতে বলা হয়। সম্পদের বিবরণী দাখিল না করায় ২০০০ সালের ১৯ জানুয়ারি ফারুকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম মিরপুর থানায় মামলা করেন। পরে ওই বছরের ১ জুন মামলায় ফারুকের পক্ষে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দাখিল করা হয়। রিভিশন শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন ও মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করে দুদক। ওই আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।

সচল হলো আসাদুল হাবিব দুলুর মামলা

বিএনপি নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুর দুর্নীতির মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতকে এক বছরের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

গত ৭ নভেম্বর  বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতি মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। 

ওই দিন আদালতে দুলুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১ কোটি ৬১ লাখ ৮ হাজার ৩৭৩ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক সমন্বিত জেলা কার্যালয় দিনাজপুরের মো. কামরুল আহসান ২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি লালমনিরহাটে এ মামলা করেন। একই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন দুলু। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০১০ সালের ২৫ আগস্ট রুল জারি করে মামলার ওপর স্থগিতাদেশ দেন। সেই থেকে মামলা বিচার কার্যক্রম স্থগিত ছিল।

জাতীয়  নির্বাচন সামনে রেখে এসব মামলা সচলের উদ্যোগ নিচ্ছেন কী-না, এ প্রশ্নের জবাবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো.  খুরশিদ আলম খান বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে দমন করা দুদকের উদ্দেশ্য নয়। দেখুন এসব মামলা অনেকদিন পড়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে মামলাগুলো লিস্টে আছে। দুদকের উদ্দেশ্য হলো যেকোনো দুর্নীতির মামলা সুন্দর করে প্রমাণ করে নিষ্পত্তি করা। কোনো রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস করা দুর্নীতি দমন কমিশনের লক্ষ্য নয়। 

তিনি বলেন, দুর্নীতির মামলার বিচার হয় তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে, রেকর্ডের ভিত্তিতে। দুর্নীতি দমন কমিশনের লক্ষ্য দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা। দুর্নীতির মামলাগুলো তড়িৎ নিষ্পত্তি চায় দুদক। ১০-১২ বছর ধরে যাদের মামলা পড়ে আছে। এ কারণে আমরা শুনানির উদ্যোগ নিয়েছি।

এমএইচডি/এসকেডি