নায়িকা তমা মির্জাকে মারধর : স্বামী হিশামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
নায়িকা মির্জা ফারজানা ইয়াসমিন তমাকে (তমা মির্জা) যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে করা মামলায় তার সাবেক স্বামী হিশাম চিশতীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ। সেইসঙ্গে হিশাম চিশতী পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (২০ নভেম্বর) বাড্ডা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহফুজ বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, গত ১৮ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক সৌমিত্র সাহা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ৭ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অভিযোগপত্র দেখিলাম বলে বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।
এর আগে ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং যৌতুকের জন্য মারধরসহ হুমকি দেওয়ার অভিযোগে হিশাম চিশতীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তমা মির্জা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, দেড় বছর আগে চিত্রনায়িকা মির্জা ফারজানা ইয়াসমিন তমার (তমা মির্জা) সঙ্গে বিয়ে হয় কানাডা প্রবাসী হিশাম চিশতীর। বিয়ের পরে তমা মির্জাকে অকারণে মারধর করতেন হিশাম। ব্যবসার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন তমার বাবার কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে ২০ লাখ টাকা এনে দিতে বলেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তমার বাবা-মা হিশামকে বিভিন্ন সময় ১০ লাখ টাকা দেন। এর কিছুদিন পর হিশাম আবারও তমাকে মারধর করেন। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তমা বাবার বাড়িতে চলে আসেন।
মামলার অভিযোগে তমা আরও বলেন, ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে হিশাম আমার বাসায় আসে। আমাকে মারধর করলে চিৎকার শুনে পাশের রুম থেকে আমার বাবা-মা এলে হিশাম তাদেরও মারধর করে। ঘরে থাকা ফুলদানি দিয়ে আমার মায়ের পিঠে ও মাথায় এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। যার ফলে আমার বাবা-মাসহ আমি আহত হই।
এরপর হিশাম আমাকেসহ আমার বাবা-মাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। সে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তার কাছে থাকা আমার ব্যক্তিগত মুহূর্তের অনেক ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশেরও হুমকি দেয়।
২০১৯ সালের ৭ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক হিশাম চিশতীকে বিয়ে করেন তমা মির্জা। বর্তমানে তমা মির্জা দেশে থাকলেও হিশাম চিশতী থাকছেন কানাডায়।
এনআর/এসএসএইচ