‘শিশুবক্তা’ রফিকুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আসেনি কেউ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা পৃথক তিন মামলায় আলোচিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) মতিঝিল, তেজগাঁও ও গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। এদিন আসামি রফিকুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়।
বিজ্ঞাপন
মাদানীর আইনজীবী শোহেল মো. ফজলে রাব্বী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গত ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ভোরে রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে তাকে আটক করে র্যাব। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে আটক রয়েছে।
রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
একই অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। ২০২১ সালের ৩০ জুন মাদানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক।
২০২১ সালের ১১ এপ্রিল মো. মামুন নামের একজন বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় আরেকটি মামলা করেন।
এদিন এ তিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের এবং গাজীপুরের বাসন থানার মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তিন মামলায় কোনো সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। এছাড়া অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য আসামিপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও অপর এক মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
২০২১ সালের ১১ এপ্রিল গাজীপুরের বাসন থানায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। আজ এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রফিকুল ইসলাম মাদানী ইউটিউব এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন। দেশের সাধারণ মানুষ এসব বক্তব্যের কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। বিভ্রান্ত হয়ে তারা দেশের সম্পত্তির ক্ষতি করছেন।
এনআর/এমএ