জাতীয় শোক দিবসে একটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটি করে প্রজ্ঞাপন জারি করার বিষয়ে রিটকারীর অভিযোগ ও এ বিষয়ে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ ও রেজিস্ট্রার মো. সিদ্দিকুর রহমানের লিখিত ব্যাখ্যায় উঠে আসা বিষয় নিষ্পত্তি করতে শিক্ষা সচিবকে আগামী রোববার (১৩ নভেম্বর) পর্যন্ত সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও রেজাউল হক।

অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, রিটকারীর অভিযোগ ও এ বিষয়ে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রারের লিখিত ব্যাখ্যায় উঠে আসা বিষয় নিষ্পত্তি করতে শিক্ষা সচিবকে আদালত কয়েকবার সময় দিয়েছেন। কিন্তু এখনও তিনি নিষ্পত্তি করেননি। আদালত আজ শিক্ষা সচিবকে রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন। এরপর আদেশ বাস্তবায়ন না হলে শিক্ষা সচিবকে তলব করার কথা বলেছেন।

এর আগে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় শোক দিবসে একটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটি করে প্রজ্ঞাপন জারি করার বিষয়ে রিটকারীর অভিযোগ ও এ বিষয়ে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ ও রেজিস্ট্রার মো. সিদ্দিকুর রহমানের লিখিত ব্যাখ্যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠান হাইকোর্ট। আদালত বলেছিলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

ওইদিন সকালে জাতীয় শোক দিবসে একটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটি করে প্রজ্ঞাপন জারি করার বিষয়ে ভুল স্বীকার করে হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ ও রেজিস্ট্রার মো. সিদ্দিকুর রহমান। তারা লিখিত আবেদনে বলেছেন, আমরা সতর্ক থাকব, ভবিষ্যতে আর এ ধরনের ভুল হবে না।

গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রারকে তলব করেন হাইকোর্ট। জাতীয় শোক দিবসে সরকারি ছুটির দিনে একটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটি করে প্রজ্ঞাপন জারি করার বিষয়ে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এছাড়া জাতীয় শোক দিবসের দিনে অ্যাডহক কমিটি করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেন আদালত।

তার আগে ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ওই মাদরাসার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ওমর ফারুক প্রজ্ঞাপন জারির প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানিতে আদালত প্রশ্ন তোলেন, শোক দিবসে কীভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করলেন। শুনানি শেষে আদালত মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রারকে তলব করেন।

এমএইচডি/এমএইচএস