চার কারণে কাজী এরতেজাকে রিমান্ডে চায় পিবিআই
সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের ব্যবহার করে জাল দলিল তৈরিসহ ৪ বিষয়ে তথ্য জানতে দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানকে দুই দিনের রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার (২ নভেম্বর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন : অর্থ পাচার : অর্থনীতির অশনিসংকেত!
যে চার কারণে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে
এক. আসামি সরকারি বিভিন্ন অফিস বিশেষ করে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যবহার করে জাল দলিল তৈরি করেন। তাকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার সহযোগী অপরাপর আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ মাধ্যমে গ্রেপ্তার করা যাবে।
আরও পড়ুন : প্রতারণার মামলায় নর্দান ইউনিভার্সিটির আবু ইউসুফ গ্রেফতার
দুই. তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার সঙ্গে বাড্ডা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী জড়িত আছেন কী না তা শনাক্ত করা যাবে।
তিন. জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজন করা দলিলে কে স্বাক্ষর করেছেন ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা যাবে।
চার. সর্বোপরি মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করার লক্ষ্যে আসামিকে পুলিশ রিমান্ডে পাওয়া একান্ত প্রয়োজন। আসামির নাম ঠিকানা যাচাই করা হয় নাই। মামলাটি তদন্তাধীন আছে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
আসিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ডিএমডি সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়ার করা মামলায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ ও রিয়াজুল আলম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পিবিআই। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাজী এরতেজাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এনআর/এসএম