৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে পাঁচশতাধিক আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করা পর্যন্ত আইনজীবীরা ঘরে ফিরবে না।

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আমাদের অঙ্গীকার যতক্ষণ পর্যন্ত এই অবৈধ দখলদার সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদ থেকে না সরবে, আইনের শাসন কায়েম না হবে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আইনজীবী সমাজ ঘরে ফিরে যাবে না।’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, গণতন্ত্র সুসংহত করা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কায়েমের জন্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রতিষ্ঠা হয়। যে কারণে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা হয় সেই স্বৈরাচার সরকার জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছে। আমরা গণতন্ত্র পুনঃউদ্ধারের দাবিতে আন্দোলন করব। আইনজীবীরা আন্দোলন করে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনব।

অনুষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবেক বিচারপতি টিএইচ খানসহ সংগঠনের মারা যাওয়া সব সদস্যের স্মরণে বিশেষ দেওয়া করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জাব্বার ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ঢাকা ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপিপন্থি আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন, খোরশেদ আলম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জামিল আখতার ইলাহী, মোক্তার কবির খান, খোরশেদ মিয়া আলম, মোসলেহ উদ্দিন জসীম, ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন আহমেদ অসীম, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, খন্দকার মো. হযরত আলী, আলী আজগর ফকির, মোহাম্মদ আলী, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শফিউল আলম মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল মাহবুব, মোর্শেদ আলম মামুন লিটন, ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ, ব্যারিস্টার ইমাম হোসেন, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, জসিম সরকার, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, আব্দুল খালেক মিলন, কেআর খান‌ পাঠান, সগীর হোসেন লিয়ন, ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান, ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান, ব্যারিস্টার এম সাকিবুজজামান, ব্যারিস্টার ইফতেখার মাহমুদ, নজরুল ইসলাম পাপ্পু, রোকনুজ্জামান সুজা, ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী, মাহফুজ বিন ইউসুফ, মাহবুবুর রহমান খান, শেখ জুলফিকার আলম, মহসীন কবির রকি, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, ব্যারিস্টার মাহাদিন চৌধুরী, আশরাফ জালাল খান মনন, আল ফয়সাল সিদ্দিকী, জাকির হোসেন, কামরুল ইসলাম, এসএম আবুল কালাম আজাদ, ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রাজীব, আনিসুর রহমান রায়হান, কাজী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ, জামিলুর হক ফয়সাল, রাসেল আহমেদ, নজরুল ইসলাম ছোটন, মো. কাইয়ূম, রেজাউল করীম রেজা,ব্যারিস্টার রবিউল ইসলাম সৈকত, সাগর হোসেন, নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগসহ ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা আইনজীবী নেতারা।

এমএইচডি/জেডএস