১১ কোটি টাকা লোপাট : ওয়ান ব্যাংকের কর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ
ওয়ান ব্যাংক থেকে ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার ব্যাংকটির গুলশান- ১ এর প্রিন্সিপাল অফিসার এমরান হোসেনের জামিন আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ৩ জানুয়ারি এমরান হোসেনের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। ১০ মাস পর ফের জামিন চেয়ে আবেদন করেন এমরান হোসেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মাহফুজ বিন ইউসুফ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও পড়ুন >> ১১ কোটি টাকা লোপাট, ওয়ান ব্যাংকের ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
আইনজীবী মাহফুজ বিন ইউসুফ বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে গত ৩ জানুয়ারি এমরান হোসেনের পক্ষে হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠান। গত ১০ মাসেও তার জামিন না হওয়ায় ফের আমরা জামিন আবেদন করি। আদালত শুনানি নিয়ে এমরানের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর অর্থ আত্মসাতের মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলায় ওয়ান ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল আদিলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে চারটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও আসামিদের ব্যাংক হিসাবে অবৈধভাবে ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা স্থানান্তর ও উত্তোলনের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- ওয়ান ব্যাংকের গুলশান- ১ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ এমরান হোসেন, ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউল আলম, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট বিমলেন্দু চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড রিলেশনশিপ ম্যানেজার মুনতাসির রহমান সিদ্দিকী, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আবু কালাম মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন ও জুনিয়র অফিসার মো. শামিম।
ব্যাংকের ওই শাখার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিরা হলেন- আজিজুর রহমান, রাকিবা জাহান, তানভীর হোসেন, পেশোয়ারা বেগম ও সুবু তারা হাওলাদার।
এমএইচডি/এমএআর/